Featured Posts

Most selected posts are waiting for you. Check this out

drainage pattern

drainage pattern

DRAINAGE PATTERN
জলনির্গম প্রণালী (
 DRAINAGE PATTERN)
ভূমিকাঃ কোন নদী অববাহিকাতে প্রধান নদী, বিভিন্ন উপনদী, শাখা নদী ও প্রশাখা নদীর একসাথে বিন্যাসের দ্বারা যে নদী নক্সা তৈরি করে তাকে জলনির্গম প্রণালী বলে।অর্থাৎ কোন নিদিষ্ট অববাহিকাতে যখন প্রধান নদীর সাথে বিভিন্ন উপনদীর,শাখা ও প্রশাখা নদীর  পারস্পরিক দূরত্বের তারতম্যের জন্যে নদীর বিন্যাস তৈরি হয়।
নদী নকশা কতকগুলি বিষয়ের উপর নির্ভর করে হয়ে থাকে,সেগুলি হল-
১. ভূমির প্রাথমিক ঢাল( Initial slope of the land)
২. শিলার পারস্পরিক বিন্যাস( pattern of rock arrangement)
৩. ভূতাত্ত্বিক গঠন (Structural control)
৪. শিলার কাঠিন্যতা ( inequalities of rock hardness)
৫. ভূ- আলোড়ন (diastrophism)
৬. নদী অববাহিকাতে সাম্প্রতিক ভূতাত্ত্বিক ও ভুমিরূপগত ইতিহাস(recent geology and geomorphic history of river basin)
জলনির্গম প্রণালীর শ্রেনিবিভাগঃ
শিলার গঠনের সাথে তারতম্য ঘটিয়ে যে নদী নকশা গুলি গড়ে ওঠে সেগুলি হলঃ
1.      বৃক্ষরূপী জলনির্গম প্রণালী
2.      জাফরিরূপী জলনির্গম প্রণালী
3.      আয়তক্ষেত্র জলনির্গম প্রণালী
4.      অসংগত জলনির্গম প্রণালী
5.      কেন্দ্রবিমুখী জলনির্গম প্রণালী
6.      কেন্দ্রমুখী জলনির্গম প্রণালী
7.      সমান্তরাল জলনির্গম প্রণালী
8.      অঙ্গুরীয়জলনির্গম প্রণালী
9.       পিনেট জলনির্গম প্রণালী

গঠনের সাথে সামঞ্জস্যপুর্ন জলনির্গম প্রণালীর বর্নণাঃ

বৃক্ষরূপী জলনির্গম প্রণালীঃ আর্দ্রজলবায়ু অঞ্চলে গাছের ডালপালার মতো আকৃতিবিশিষ্ট যে জলনির্গম প্রণালী গড়ে ওঠে তাকে বৃক্ষরূপী জলনির্গম প্রণালী বলে।
বৈশিষ্ট্যঃ
·         গ্রিকশব্দ “ Dendron”  যার অর্থ হল বৃক্ষ।সেখান থেকেইএইরকম নাম করন করা হয়েছে।
·         আর্দ্র জলবায়ুতে এই জলনির্গম প্রণালী দেখা যায়।
·         এই প্রণালীর উপর ভূগাঠনিক নিয়ন্তন থাকে না।
·         শিলাস্তরের গঠন এবং ভূমির ঢাল এই জলনির্গম প্রণালী গড়ে তোলার জন্য দায়ি।
·         ভূমিভাগ সমপ্রকৃতির শিলা দ্বারা গঠিত হলে অর্থাৎ শিলার ক্ষয় ও প্রতিরোধ ক্ষমতা সমান সেখানে  এই ধরনের জলনির্গম প্রণালী গড়ে ওঠে।
·         উপনদীগুলি বিভিন্ন দিক থেকে এসে সমকোণে মূল নদীর সাথে মিলিত হয়।
·         ভুমিভাগের ঢাল একটি নিদিষ্ট দিকে থাকে।
·         মস্তক ক্ষয়ের জন্যে নদী, উপনদীর দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি পায়।
উদাহরণঃ হিমালয়ের পার্বত্য অঞ্চলে , উত্তর ভারতের সমভূমি অঞ্চলে, গোদাবরী, কৃষ্ণা কাভেরি উপত্যকা  অঞ্চলে বৃক্ষরূপী জলনির্গম প্রণালী গড়ে উঠেছে।





জাফরিরূপী জলনির্গম প্রণালীঃ
প্রধান নদীর সাথে পরবর্তী নদী ও বিপরা নদী যুক্ত জাফরিরূপী আকৃতিবিশিষ্ট বিন্যাস গড়ে উঠে তাকে জাফরিরূপী জলনির্গম প্রণালী
বলে।
   বৈশিষ্ট্যঃ
·         নদী বিন্যাস সাধারণত সরল ভাঁজ যুক্ত অঞ্চলে গড়ে ওঠে।
·         উধোভঙ্গ উপত্যকার সমান্তরালে অবস্থান করে।
·         সমান্তরাল ভাবে বিস্তৃত গ্রাবরেখা বা ড্রামলিন গঠিত অঞ্চলে নদতগুলি সমকোণে মিলিত হয়।
·         অধভঙ্গ উপত্যকা গুলিতে একাধিক দির্ঘ প্রধান নদী প্রবাহিত হয়।
·         শিলাস্তরের নতি ও আয়াম উপনদীগুলির গতিপথ নির্নয় করে,
উদাহরনঃভারতের আরাবল্লির সমপ্রায়ভুমিতে, কৃষ্ণা নদীর উচ্চ অববাহিকাতে এই ধরনের  জলনির্গম প্রণালী দেখা যায়।





অসংগত জলনির্গম প্রণালীঃ যে সব নদী বিন্যাস নৌকা টানা আঁকশির মতো হয় তাকে অসংগত জলনির্গম প্রণালী  বলে।
বৈশিষ্টঃ
·         নদীর উৎস অঞ্চলে এই নদী বিন্যাস গড়ে ওঠে।
·         মূলনদীর সাথে সূক্ষ্মকোণে বা স্থুলকোণে মিলিত হয়।
·         উপনদীগুলি প্রধান নদীর বিপরীত দিকে প্রবাহিত হয়।
·         পুঞ্জ ক্ষয়ের স্তরগুলি সঞ্জরমান থাকার ফলে নদিগ্রাসের সৃষ্টি হলে নিকতস্থ পৃথক কোন নদী গোষ্ঠীর কিদয়ংশ সাময়িক ভাবে এই জলনির্গম প্রণালীর সৃষ্টি হয়।
উদাহরণঃ ছোটনাগপুর মালভূমি ও কর্নাটকের মালভূমি অঞ্চলে দেখা যায়।



আয়তক্ষেত্র জলনির্গম প্রণালীঃ যে  নদী বিন্যাস আয়তাকারে বিন্যস্ত থাকে তাকে আয়তক্ষেত্র জলনির্গম প্রণালী বলে।
বৈশিষ্টঃ
·         প্রধান নদিগুলি পরস্পরের সাথে সমান্তরালে প্রবাহিত হয়।
·         আবহবিকারের ফলে ফাটল এবং ভু -  আন্দোলনে চ্যুতি এই প্রণালীকে নিয়ন্তন করে।  
·         উপনদীগুলি সমকোণে মিলিত হয় কারণ শিলারস্তরের ফাটল ও দারনের জন্যে।
·         অপেক্ষাকৃত কম বৃষ্টিপাত যুক্ত অঞ্চলে এবং কম ফাটল ও চ্যুতি অঞ্চলে দেখা যায়।
উদাহরণঃ মধ্য ভারতের বেত্তইয়া, শোন নদীর অববাহিকাতে দেখা যায়।





কেন্দ্রবিমুখী জলনির্গম প্রণালীঃ

যে নদীগুলি সরলরেখার মতো কোন উচ্চভূমির কেন্দ্র থেকে বাইরের দিকে প্রবাহিত হয় তাকে কেন্দ্রবিমুখী জলনির্গম প্রণালী বলে।
বৈশিষ্টঃ
·         গম্বুজাকৃতি পাহাড় ,ব্যথলিথ বা কোন উচ্চ মালভূমির অঞ্চলে এই প্রণালী মূলত গড়ে উঠে।
·         উচ্চভূমি থেকে উৎপন্ন হয়ে বিভিন্নদিকে প্রবাহিত হয়।
·         উপনদীগুলি সূক্ষ্মকোনে মিলিত হয়
·         এরা ভূমির ঢাল অনুসরণ করে প্রবাহিত হয় তাই স্রোত ও বেশী হয়।
উদাহরণঃ রাঁচি মালভূমির প্যাট অঞ্চলে পরেশ নাথ পাহাড়ে দেখা যায়।








কেন্দ্রমুখী জলনির্গম প্রণালীঃ  যে নদীবিন্যাসে নদীগুলি চারিদিকের উচ্চভুমির থেকে অপেক্ষাকৃত অবনমিত অঞ্চলে প্রবাহিত হয় তাকে কেন্দ্রমুখী জলনির্গম প্রণালী বলে।
বৈশিষ্টঃ
·         কেন্দ্র বিমুখ জলনির্গম প্রণালীর একদম বিপরীত অবস্থা।চারদিকের উচ্চভূমি থেকে অপেক্ষাকৃত নিচু অঞ্চলে নদী প্রবাহিত হয়।
·         অপেক্ষাকৃত কম বৃষ্টি পাত যুক্ত অঞ্চলে দেখা যায়।
উদাহরণঃ ভারতের নিম্ন চম্বল অববাহিকাতে দেখা যায়।









সমান্তরাল জলনির্গম প্রণালীঃ যে নদী অববাহিকাতে নদীগুলি ভূমির ঢাল অনুসারে পরস্পরের সমান্তরালে প্রবাহিত হয় তাকে সমান্তরাল জলনির্গম প্রণালী বলে ।
বৈশিষ্টঃ
·         অধিক বৃষ্টিপাত যুক্ত অঞ্চলে ভূমির ঢাল বেয়ে সমান্তরালে প্রবাহিত হয়।
·         নদী বাঁক খুব বেশী দেখা যায় না।
·         শিলার কাঠিন্য ও প্রকৃতি অপেক্ষা ভূমির ঢাল নদী বিন্যাসকে নিয়ন্তন করে।
উদাহরণঃ নীল গিরি পর্বতের পুর্ব ঢালে, শিবালিক পর্বতের দক্ষিণ ঢালে দেখা যায়।

অঙ্গুরীয়জলনির্গম প্রণালীঃ যে নদী বিন্যাসে গম্বুজাকৃতি পাহাড়ে কঠিন ও কোমল শিলা পর পর অবস্থান করায় কোমল শিলা দ্রুত ক্ষয় প্রাপ্ত হয়ে কঠিন শিলা উঁচু হয়ে অবস্থান করে এভাবে চক্রাকারে অসমান ধাপে সৃষ্টি হয়ে আংটির মতো দেখায় তাকে অঙ্গুরীয়জলনির্গম প্রণালী বলে।
বৈশিষ্টঃ
·         কঠিন ও কোমল শিলা পর পর অবস্থান করায় কোমল শিলা দ্রুত ক্ষয় প্রাপ্ত হয়ে কঠিন শিলা উঁচু হয়ে অবস্থান করে ফলে এই ধরনের নদী বিন্যাস দেখা যায়।
·         আংটির মতো দেখতে হয়।
·         গম্বুজাকৃতি পাহাড়ের উপর কেন্দ্রবিমুখ জলনির্গম প্রণালীর মতো প্রবাহিত হয়।

উদাহরনঃবিহারের সোনপেট গম্বুজের চারদিকে এই ধরনের জলনির্গম প্রণালী দেখা যায়।
পিনেট জলনির্গম প্রণালীঃ যে বৃক্ষ রূপী জলনির্গম প্রণালীর থেকে কিছুতা আলাদা নিমপাতার মতো আকৃতিবিশিষ্ট যে নদী বিন্যাস গড়ে ওঠে তাকে পিনেট জলনির্গম প্রণালী বলে।
বৈশিষ্টঃ
·         তীব্র ঢাল বিশিষ্ট হয় কারণ কোমল শিলা ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে কঠিন শিলা ঢাল বিশিষ্ট হয়
·         উপনদীগুলির দৈর্ঘ্য  ছোট হয় এবং নিমপাতার মতো আকৃতি হয়।
উদাহরনঃ শোন নদীর উচ্চ অববাহিকাতে ও নর্মদা নদী অববাহিকাতে দেখা যায়

continue...........................


MODEL ACTIVITY TASK02

MODEL ACTIVITY TASK02

মডেল অ্যাক্টিভিটি টাক্স 

দ্বাদশ শ্রেণী

ভূগোল

 

  1. চিত্রসহ চুনাপাথরের গুহায় অবস্থিত ভূমিরূপগুলির বর্ণনা দাও।


ভুমিকাঃ- কার্স্ট শব্দটি জার্মান যা একটি ইন্দো  ইউরোপীয় শব্দ "kar" থেকে এসেছে যার অর্থ হল শিলা।  ইতালিতে “carso” ও স্লোভেনিয়ায় “ kars” নামে পরিচিত ।স্লোভেনিয়ায় “ kars” শব্দের অর্থ হল উন্মুক্ত প্রস্তরময় ভূমি ( open rocky ground) । 
সংজ্ঞাঃ  কোন অঞ্চলে ভূপৃষ্ঠীয় শিলা জলে দ্রবীভূত হয়ে শিলার ভৌত ও রাসায়নিক ধর্মের পরিবর্তন ঘটিয়ে ভূমিরূপ ও জলনির্গম প্রণালী গঠিত হয় তাকে কার্স্ট ভূমিরূপ বলে। 
ভারতের কিছু কার্স্ট অঞ্চলের উদাহরন হল উত্তরাখণ্ডের   দেরাদুন, ছত্তিসগড়ের পাঁচমারি, ওডিশার করাপুট, মেঘালয়য়ের চেরা মালভূমি, অন্দ্রপ্রদেশের বোরাকেভ, কেড প্রভৃতি।

ভুগর্ভে গঠিত কার্স্ট ভূমিরূপগুলি হল।

১। গুহা ও ভু গহ্বরঃ চুনাপাথরের ফাটলের মধ্য দিয়ে জল যখন নীচের দিকে প্রবাহিত হয়ে বড় গর্তের সৃষ্টি করে। এই গর্তগুলি দীর্ঘদিন ক্ষয় করে আরও প্রসারিত হয়ে গুহার সৃষ্টি করে ।এই গুহার আকার যখন অনেক বড় হয় তাকে ভু- গহ্বর বলে। ভারতে মধ্যপ্রদেশের  পাঞ্চমারি, অন্ধ প্রদেশের বোরাগুহা , উওরাখন্ডের দেরাদুন, মেঘালয়য়ের চেরাপুঞ্জিতে এই গুহার সৃষ্টি হয়েছে।
২। স্টালাকটাইটঃ দ্রবীভূত চুনাপাথর মিশ্রিত জল গুহার  ছাদ থেকে জল চুইয়ে  মেঝেতে পড়তে শুরু করে এবং বাষ্পীভবনের ফলে ক্যালশিয়াম কার্বনেট সঞ্চিত হয়ে ঝুরির আকারে ঝুলতে থাকে তাকে স্টালাকটাইট বলে।

৩।স্টালাগমাইটঃ গুহার ছাদ থেকে জলের ফোঁটা একটু একটু  করে মেঝেতে জমে মোটা স্তম্ভের আকার নেয় তাকে স্টালাগমাইট বলে। বিহারের সাসারামের কাছে গুপ্তেরশবর গহ্বরে এই ধরনের ভুমিরুপ দেখা যায়। 




৪। স্তম্ভঃ যদি গুহার ছাদ থেকে নামতে থাকা স্টালাগটা ইট ও নিচের থেকে উপরে উঠতে থাকা স্টালাগমাইট   যখন একসাথে যুক্ত হয়ে দণ্ডের আকার ধারন করে তাকে বলে স্তম্ভ । 



৫। হেলিকটাইটঃ চুনাপাথরের গুহার মধ্যে দ্রবীভূত চুন উপর থেকে নিচের দিকে, নিচে থেকে উপর দিকে, তির্যক ভাবে বৃদ্ধি পায় তাকে বলে হেলিকটাইট ।



Keep updating
I will upload all question day by day
Stay connected this page


Activity 01


Thank you
Normal cycle of Erosion

Normal cycle of Erosion









ডেভিসের স্বাভাবিক ক্ষয় চক্র


ভুমিকাঃ- ১৮৯৯ সালে মার্কিন ভূতাত্ত্বিক William Morris Davis  ( ১৮৫০-১৯৩৪) সর্ব প্রথম ক্ষয়চক্রের ধারণা দেন। তাঁর মতে ক্ষয়চক্র হল কোন অঞ্চলে গঠিত ভূমিরূপ সেই অঞ্চলের শিলার গঠন, প্রক্রিয়া ও সময়ের উপর নির্ভরশীল। ( landscape is a function of structure, process and time).  ভুমিরূপের বিবর্তন এই ধারনাটি চার্লস ডারউইনের  “ the origin of species”  এই মডেলকে অনুসরন করে তৈরি। তিনি ১৮৮৪ থেকে ১৮৯৯ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে ক্ষয়চক্রের বিকাশ ঘটান।



ধারনাঃ- সাধারণত কোনো  ভূমিরূপ ক্ষয়কার্যের মাধ্যমে নির্দিষ্ট পর্যায়ের মধ্যে দিয়ে প্রাথমিক  অবস্থা থেকে শেষ অবস্থায় গিয়ে পৌঁছায়। তাকে ক্ষয়চক্র বলে। ডেভিসের মতে কোন ভূমিরূপ গঠনের ক্ষেত্রে শিলার গঠন, প্রক্রিয়া এবং সময়ের উপর নির্ভরশীল। এখানে শিলার গঠন বলতে শিলার নতি, আয়াম, কাঠিন্য ,প্রবেশ্যতা , ভাঁজ  ও চ্যুতির স্তরায়ন তলকে বোঝায়। প্রক্রিয়া বা process  বলতে নগ্নিভবন ও ক্ষয়জাত প্রক্রিয়ার এজেন্ট যেমন নদী, বায়ু , জল , এবং সমুদ্র তরঙ্গ ইত্যাদিকে বোঝায়। এবং সময় বলতে কোন ভূমিরূপ ক্ষয়চক্রের কোন পর্যায় রয়েছে তা নির্দেশ করে। ডেভিস সময়ের সাথে সাথে কতগুলি মডেল উপস্থাপন করেন সেগুলি হলঃ  complete cycle of river life in 1899 , geographical cycle in 1899 and slope evolution ইত্যাদি। তিনি স্বাভাবিক ক্ষয়চক্রের সংজ্ঞাস্বরূপ বলেছেন যে নিদিষ্ট ক্রমানুসারে কোন নিদিষ্ট প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কোন উত্থিত ভূমিরূপ ক্ষয়ের যখন ক্ষয়ের শেষ পর্যায় পৌঁছায় তাকে স্বাভাবিক ক্ষয়চক্র বলে।
   ডেভিসের ক্ষয়চক্রের শর্তাবলিঃ
ডেভিস ক্ষয়চক্রের বর্ননা করতে গিয়ে কতগুলি শর্তের কথা বলেছেনঃ
ভূমিভাগ সর্বদা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে উপরে অবস্থান করবে।
ভুমিভাগের উত্থানকালে ক্ষয়কাজ সম্পন্ন হবে না।
কোঠিন ও কোমল শিলা পর পর  অবস্থান করবে।
অঞ্চলটি আর্দ্র জলবায়ুর অন্তর্গত হতে হবে।
ভূমিরূপের বিবর্তন একটি নিদিষ্ট পর্যায়ের মাধ্যমে হতে থাকে।
নদীক্ষয় , বায়ু ক্ষয় ,  আববিকার, এবং নগ্নিভবন প্রভৃতি বহিঃজাত প্রক্রিয়া গুলি ভূমির পরিবর্তনে সাহায্য করে।
নদী তার নিম্নক্ষয়ের শেষ সীমানায় সমভূমিতে পরিনত হবে।





ক্ষয়চক্রের ব্যাখাঃ
ভূমি ভাগের উত্থানের পর নদী যখন ক্ষয়কাজ শুরু করে তখন সে তিনটি প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে ক্ষয় কাজ সম্পন্ন করে। এই তিনটি প্রক্রিয়া হল
১. যৌবন অবস্থা ( youth stage)
২. পরিণত অবস্থা (  Mature stage)
৩. বার্ধক্য অবস্থা (  Old stage)


   যৌবন অবস্থা ( youth stage):
ভূমিরূপের উত্থান ঠিক শেষ হওয়ার পর থেকে নদী ক্ষয় করতে শুরু করে। এটি একদম প্রাথমিক পর্যায় । এই পর্যায়ের বৈশিষ্ট হলঃ
ভূমির উচ্চতা বেশী হওয়ার ফলে নদী দ্রুত নিম্ন ক্ষয় করে V ও I আকৃতি ভূমিরূপ গঠন করে ।
ভূমির ঢাল বরাবর অনুগামী নদীর ও ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র নদীর  সৃষ্টি করে  বৃক্ষ রূপি জলনির্গমন প্রণালী  রূপে অবস্থান করে।
জলবিভাজিকা প্রশস্ত হওয়ার জন্যে এখানে হ্রদ ও জলাভুমির সৃষ্টি হয়।
কঠিন ও কোমল শিলা পর্যায়ক্রমিক ভাবে অবস্থান করায় কোমল শিলা ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে নদী বরাবর জলপ্রপাতের সৃষ্টি হয়।
যৌবনকালে অবঘর্ষ প্রক্রিয়ার দ্বারা মন্থকুপ তৈরি হয় ফলে দ্রুত নদীখাত ক্ষয় করে।
পার্শ ক্ষয় অপেক্ষা নিম্ন ক্ষয় বেশী হওয়ার জন্যে শৈলশিরার শির্ষদেশে ও উপত্যকার তলদেশের আপেক্ষিক উচ্চতা বৃদ্ধি পায়। উপত্যকার ঢাল ও বেশী থাকে।





  পরিণত অবস্থাঃ( Mature stage)
যৌবন অবস্থার সব চিহ্ন শেষ হওয়ার পর শুরু হয় পরিণত অবস্থা।এই অবস্থার বৈশিষ্ট হলঃ
জলবিভাজিকাতে সৃষ্ট হ্রদ ও জলাভূমির এই পর্যায়ে বিলুপ্তি ঘটে।
মস্তকক্ষয়ের মাধ্যমে নদী উপত্যকা বিস্তার হয় এবং জলবিন্যাস প্রতিষ্ঠিত হয়।
এই পর্যায়ে ভূমির আপেক্ষিক উচ্চতা বেশী হয় প্রথম দিকে।
নিম্ন ক্ষয়ের পাশাপাশি পার্শব ক্ষয় হয় ফলে নদীর দুই ধারে প্লাবনভুমি গড়ে ওঠে।
প্রধান নদীর অনুদৈর্ঘ্য ঢাল ভারসাম্য স্তরে পৌঁছায় ( profile of equilibrium)
পরিণত অবস্থার শেষে নদী পার্শ ক্ষয় বেশী করে।







   বার্ধক্য অবস্থাঃ
এটি শেষ অবস্থা যেখানে নদী নিম্নক্ষয় বন্ধ করে দেয় শুধু পার্শ ক্ষয় হয়।
নিম্নক্ষয় বন্ধ হওয়ায় আপেক্ষিক উচ্চতা হ্রাস পায়।
উপত্যকাগুলি চওড়া ও কম ঢালযুক্ত হয়।
প্লাবনভুমির উপর দিয়ে নদী সর্পিল গতিতে প্রবাহিত হয় এবং অশ্বখুরাকৃতি হ্রদ গঠন করে ।
এক্ষেত্রে অবহবিকার ও নগ্নিভবন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
জলবিভাজিকা ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে ক্ষয়ের প্রতিরোধকারী শিলা দ্বারা গঠিত স্বল্প উচ্চতাযুক্ত পাহাড়কে মোনাডোনাক বলে।
ক্ষয়ের শেষসীমানায় বৈচিত্র্যহীন সমপ্রায়ভূমিতে (  peneplain)  পরিণত হয়।
ঝাড়খণ্ডের গালুদিতে পাট মাহুলিয়া মোনাডনাকের একটি উদাহরন।


সমালোচনা:-
★ডেভিসের মতানুসারে ভূমির উত্থান কাজ শেষ হওয়ার পর ক্ষয়চক্রের প্রক্রিয়া শুরু হবে যা বাস্তবিক নয়।
★ ডেভিসের মতানুসারে ক্ষয়চক্র আদৌ শেষ হতে পারে কিনা সন্দেহ কারণ ক্ষয়ের শেষ পর্যায়ে পৌঁছাবার আগেই ভূমির উত্থান ঘটলে ক্ষয় চক্র ব্যাহত হয়।
★ ভূমির দ্রুত উত্থানের কথা বলেছেন কিন্তু পাত সংস্থান একটি ধীর সম্পন্ন।
★ ডেভিস সময় কে গুরুত্ব দিয়েছেন কিন্তু পেঁঙ্ক দেননি।


উপসংহার
ডেভিসের ক্ষয়চক্রের সমালোচনা হলেও এটি প্রথম বৈজ্ঞানিক দৃষ্টি ভঙ্গিতে উপস্থাপিত ধারণা।তিনি সরল ও সহজ ভাষায় উপস্থাপিত করেছিলেন।বর্তমানে ভূতাত্ত্বিক চিন্তা ভাবনার সাথে সামঞ্জস্য পূর্ন।





MODEL ACTIVITY TASK

MODEL ACTIVITY TASK

মডেল অ্যাক্টিভিটি টাক্স 

দ্বাদশ শ্রেণী

ভূগোল 

  1. কার্স্ট ভূমিরূপ গড়ে ওঠার প্রয়োজনীয় শর্তসমুহ উল্লেখ কর 
কার্স্ট শব্দটি জার্মান যা একটি ইন্দো  ইউরোপীয় শব্দ "কার" থেকে এসেছে যার অর্থ হল শিলা। কোন অঞ্চলে ভূপৃষ্ঠীয় শিলা জলে দ্রবীভূত হয়ে শিলার ভৌত ও রাসায়নিক ধর্মের পরিবর্তন ঘটিয়ে ভূমিরূপ ও জলনির্গম প্রণালী গঠিত হয় তাকে কার্স্ট ভূমিরূপ বলে। ভারতের কিছু কার্স্ট অঞ্চলের উদাহরন হল দেরাদুন, পাঁচমারি, বোরাকেভ, কেড প্রভৃতি।

 কার্স্ট ভূমিরূপ গড়ে ওঠার প্রয়োজনীয় শর্তসমুহ হলঃ- 
  1. দ্রবণীয় শিলাস্তরের উপস্থিতিঃ ভূপৃষ্ঠের উপরে বা নিচে দ্রবণীয় শিলাস্তর থাকা জরুরি।
  2. বিশুদ্ধ চুনাপাথর গঠিত ভুমিরুপঃ বিশুদ্ধ চুনাপাথরের ক্যালশিয়াম কার্বনেটের পরিমাণ ৪০% বেশী থাকতে হবে ফলে শিলাস্তর দারণযুক্ত হবে ফলে অতি সহজে জল প্রবেশ করতে পারবে।
  3. পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাতঃ বার্ষিক বৃষ্টিপাত ৩০ সেমির বেশী হতে হবে।
  4. সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে উঁচুতে অবস্থানঃ দ্রাব্য শিলাস্তরটি সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে উঁচুতে অবস্থিত হতে হবে।
  5.  নদীর উপস্থিতিঃ দ্রাব্য ও অদ্রাব্য শিলা পরস্পর অবস্থিত হওয়ার জন্যে নদী অদ্রাব্য শিলা কেটে দ্রাব্য শিলাকে উন্মুক্ত করে দেয়।তাই নদীর উপস্থিতি একান্ত প্রয়োজন।


ভারতের কিছু কার্স্ট অঞ্চলের উদাহরন হল দেরাদুন, পাঁচমারি, বোরাকেভ, কেড প্রভৃতি।





প্রবালের কথা

প্রবালের কথা

প্রবাল প্রাচীর



ভূমিকা:- সমুদ্র তলদেশে বিরাজমান চুনজাতীয় পদার্থ দ্বারা গঠিত একধরনের অমেরুদণ্ডি সামুদ্রিক প্রাণী যাকে আমরা প্রবাল কীট(coral polyps) নামে জানি। এরা অ্যান্থজোয়া শ্রেনী ভুক্ত হয়। ১৮৪২ সালে চার্লস ডারউইন সর্ব প্রথম "The Structure and Distribution of Coral Reef" নামক বইতে প্রবালের ও তার উৎপত্তি সমন্ধে ধারণা দেন।সাধারণ ক্রান্তীয় অঞ্চলে সমুদ্র তলদেশে এক স্থানে উপনিবেশ গড়ে তোলে।এরা সবুজ, হলুদ,গোলাপি, সাদা রঙের হয়ে থাকে।

সংজ্ঞা:-ক্রান্তীয় অঞ্চলে যখন বিভিন্ন রঙের প্রবাল কীটের মৃত দেহাবশেষ সমুদ্রতলদেশে জমাট বেঁধে অতি দীর্ঘাকার কিংবা বলয় আকৃতি বিশিষ্ট সামুদ্রিক ভূমিরূপ গঠিত হয় তাকে প্রবাল প্রাচীর বলে।



কীভাবে গঠিত হয়?
 ক্রান্তীয় অঞ্চলে অগভীর সমুদ্রে প্রবাল কীটের দেহ থেকে নিঃসৃত এক ধরনের আঠালো পদার্থ ও সমুদ্রের জল থেকে সংগৃহীত ক্যালসিয়াম কার্বনেট বা  চুনজাতীয় পদার্থ মিশে বহিঃ আবরণ তৈরী করে এবং আঠালো পদার্থের কারণে একে অন্যের সঙ্গে আটকে যায়। মৃত্যুর পরও এরা একসাথে সমুদ্র তলদেশে স্তূপাকারে সঞ্চিত হয়। কালক্রমে স্তূপাকারের নিম্নাংশ প্রচন্ড   চাপে কঠিন রূপ ধারণ করে।একবার প্রবালের মৃত দেহ সঞ্চিত হতে থাকলে তা দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পেয়ে কখনও কখনও সমুদ্র তল থেকে উঁচু তে হতে থাকে।

প্রবাল প্রাচীর গঠনের অনুকূল অবস্থা:-
১. সমুদ্র জলের উষ্ণতা:- এরা অধিক উষ্ণতা ও অধিক শীতলতা কোনোটাই সহ্য করতে পারে না।তাই গড় ১৮℃ থেকে ৩০℃ উষ্ণতা প্রবাল প্রাচীর গঠনে অনুকূল।৩০℃ এর বেশি উষ্ণতায় এরা বেড়ে উঠতে পারে না।এইজন্য কীট গুলি সাধারণ ৩০°উত্তর থেকে ৩০°দক্ষিণ অক্ষাংশের মধ্যে দেখা যায়।
২.সমুদ্র জলের গভীরতা:- যথেষ্ট পরিমাণের সূর্যালোক প্রবাল প্রাচীর গঠনের জন্য প্রয়োজন।সূর্যালোক যেখানে পৌঁছায় না সেখানে সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়া ব্যাহত হয় । তাই সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে ৬০-৭৫ মিটার গভীরতায় প্রবাল প্রাচীর গড়ে তোলার জন্য অনুকূল।
৩.সমুদ্র জলের লবনতা:- ২৭% -৩০% লবনতা প্রবাল প্রাচীরের জন্য অনুকূল কারণ অধিক লবনতা প্রবাল কীটের জন্যে ক্ষতিকারক।
৪.স্বাদু জলের  বা মিষ্টি জলের প্রভাব:- প্রবাল কীট মিষ্টি জলে বেঁচে থাকতে পারে না তাই তারা মোহনায় গড়ে উঠে না । সমুদ্র উপকূল থেকে দূরে প্রাচীর গড়ে উঠে।
৫. সমুদ্র স্রোত:-
সমুদ্রাস্রোত প্রবাল প্রাচীর গড়ে তোলার পক্ষে উপযুক্ত।কারণ স্রোত বা ঢেউ প্রবাল কীটের খাদ্যের জোগান দেয়।এই জন্য প্রবাল কীট উন্মুক্ত সমুদ্রে বেশী দেখা যায়।
৬.সমুদ্র মঞ্চ:- উন্মুক্ত সমুদ্রে প্রবাল প্রাচীর গঠনের জন্যে সমুদ্রমঞ্চ এর প্রয়োজন কিন্তু তার গভীরতা অবশ্যই ৯০মিটারের মধ্যে হতে হবে।
৭.দূষণ মুক্ত উপকূল:- সমুদ্র উপকূলীয় জল অবশ্যই দূষণমুক্ত হওয়া জরুরি।

প্রবাল প্রাচীরের শ্রেণীবিভাগ

প্রবাল প্রাচীরকে চার্লস ডারউইন উৎপত্তি  ,প্রকৃতি ও আকার অনুসারে তিনভাগে ভাগ করেন
১.প্রান্ত প্রবাল প্রাচীর ( Fringing Reef)
২. প্রতিবন্ধক প্রবাল প্রাচীর ( Barrier Reef)
৩.অ্যাটল (Atoll)

অবস্থান অনুসারে দুই ভাগে ভাগ করা হয়।
১. ক্রান্তীয় অঞ্চলের প্রবাল প্রাচীর
২. প্রান্ত দেশীয় প্রবাল প্রাচীর


১.প্রান্ত দেশীয় প্রবাল প্রাচীর
যেসব প্রবাল প্রাচীর মহিসোপানের ঢালু অংশে বা উপকূলের কাছাকাছি প্রায় সমান্তরালভাবে বা বলয় আকারে অবস্থান করে তাকে প্রান্ত দেশীয় প্রবাল প্রাচীর বলে।





■বৈশিষ্ট :-
◆ এরা সংকীর্ণ প্রকৃতির হয়
◆এদের বিস্তার অপেক্ষাকৃত কম
◆ সমুদ্রামুখী দিকটি অপেক্ষকৃত উঁচু স্থলভাগের তুলনায়।
◆কখনো কখনো এই ধরণের প্রাচীর সংকীর্ণ অগভীর লেগুন দ্বারা বিচ্ছিন্ন হয় একে বোট চ্যানেল ( boat channel) বলে।
◆যেখানে সমুদ্র তরঙ্গ প্রবালকে সঞ্চয় করে তাকে রিফ ফ্ল্যাট (reef flat) বলে
◆এরা উন্মুক্ত সমুদ্রাভিমুখী বা আবদ্ধ হয়ে থাকে

■উদাহরণ:- দক্ষিণ ফ্লোরিডা প্রবাল প্রাচীর ও সাকাউ দ্বীপের প্রাচীর

■ প্রতিবন্ধক প্রবাল প্রাচীর ( Barrier Reef)
যখন প্রবাল প্রাচীর উপকূল থেকে কিছুটা দূরে অগভীর লেগুন দ্বারা বিচ্ছিন্ন হয়ে যে অনুদৈঘ্য বা বৃত্তাকার প্রবাল প্রাচীর কে প্রতিবন্ধক প্রবাল প্রাচীর ( Barrier Reef) বলে।



■বৈশিষ্ট্য:-
১. সমুদ্র থেকে 60 মিটার গভীরতা থেকে এর বৃদ্ধি ঘটে।
২.সমুদ্র পৃষ্ঠের উপর এরা কয়েক কিমি বিস্তৃত  থাকে।
৩.এরা অর্ধচন্দ্রাকৃতি হয়
৪.এর সমুদ্রামুখী ঢাল ৪৫° এবং স্থল ভাগের ঢাল ১৫° হয়ে থাকে।

৫.লেগুন গুলির গভীরতা ৪০-৮০মিটার হয়ে থাকে।অনেকসময় প্রাচীর ও উপকূলের মাঝে লেগুনের মধ্যে প্রান্ত প্রবাল প্রাচীর গড়ে ওঠে।
■উদাহরণ: অস্ট্রেলিয়ার গ্রেট বেরিয়ার রিফ যা উত্তর পূর্ব অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৯°-২০° দক্ষিণ অক্ষাংশে ১২০০ মাইল জুড়ে অবস্থিত।

■অ্যাটল(Atoll)
সমুদ্রের অগভীর অংশে স্বল্পোথিত বৃত্তাকার বলয়ের আকারে যেসব খাড়া ঢাল বিশিষ্ট প্রবাল প্রাচীর গড়ে উঠে তাকে অ্যাটল(atoll) বলে


■বৈশিষ্ট্য:-
১.সমুদ্রের জলতলের উত্থান ও পতনের সাথে এদের অবস্থান জড়িত
২.  এদের আকৃতি বৃত্তাকার বা উপবৃত্তাকার হয়।
৩. এদের মাঝে গভীর লেগুন থাকে যাদের গভীরতা ৩০-৫০মিটার হয়
৪. এর সাথে অনেক সংযোগ কারী চ্যানেল থাকে যার মাধ্যমে জল লেগুন এ প্রবেশ করে।
৫. এরা স্থলভাগ থেকে কয়েকশো কিমি দূরে অবস্থান করে
৬.অনেকসময় প্রবাল প্রাচীরের ধ্বংসাবশেষ কমে দ্বীপ গঠন করে।

■ উদাহরণ:- পূর্ব ফিজি প্রবাল বলয়,ও পশ্চিম ক্যারোলিনা ট্রাঙ্ক বলয়।,প্রশান্ত মহাসাগরের প্রবাল বলয়

জনসংখ্যা ভূগোল

জনসংখ্যা ভূগোল


MULTIPLE CHOICE QUESTIONS (MCQ)

জনসংখ্যা ভূগোল

অতি  সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর


  • অতিবিরল জনবসতি অঞ্চলে গড়ে প্রতি বর্গকিমিতে বাস করে – ১ জনের কম
  • পৃথিবীতে প্রথম মানুষের আবির্ভাব ঘটে – ১০ থেকে ২০ লক্ষ বছর আগে
  • জনসংখ্যা বিবর্তন তত্ত্বের প্রথম পর্যায় বলতে বোঝায় – প্রাক শিল্প বিপ্লবের সময়কে
  • ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী ভারতের গ্রামীণ জনসংখ্যার হার -৬৮.৮৪%
  •  ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী ভারতের শহুরে জনসংখ্যার হার -৩১.৬%
  • ভারতের সবচেয়ে জনবিরল কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হল- লাক্ষা ও মিনিকয় দ্বীপপুঞ্জ
  • মোট জনসংখ্যা ও মোট জমির পরিমাণের অনুপাতকে বলে – জনঘনত্ব
  • বর্তমানে পৃথিবীতে জনসংখ্যা বৃদ্ধির গড় হার – ১.৩০%
  • গত ৫০০ বছরে পৃথিবীর জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে – ১০ গুন
  • ভারতের জনবহুল রাজ্য হল – উত্তর প্রদেশ
  • পৃথিবীর গড় জনঘনত্ব  প্রতি বর্গকিমিতে – ৪১ জন
  • ইউরোপ মহাদেশে গড় জনঘনত্ব  প্রতি বর্গকিমিতে – ১০৪ জন
  • জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার সবচেয়ে বেশী – আফ্রিকা
  • শিল্পবিপ্লবের সময় পৃথিবীর মোট জনসংখ্যা ছিল প্রায় – ৫০ কোটি
  • মোট জনসংখ্যার মধ্যে সর্বাধিক শহুরে জনসংখ্যা লক্ষ করা যায় – উত্তর আমেরিকা
  •  ভারতের জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গকিমিতে -৩৮২ জন
  • ভারতে প্রতি বছর মৃত্যুহার প্রতি ১০০০ জনে প্রায় ২৬ জন
  • ভারতে প্রতি বছর গড় জনসংখ্যা বৃদ্ধির  হার – ১.৬৪%
  • ভারতে জনসংখ্যা বৃদ্ধির  হার সবচেয়ে বেশী – দাদরা ও  নগর হাভেলিতে(৫৫.`৫%)
  • ভারতে জনসংখ্যা বৃদ্ধির  হার সবচ৫%)কম – কেরালাতে ( ৯.৪২%)
  • ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী ভারতের সর্বাধিক জনঘনত্ব পূর্ণ রাজ্য হল- বিহার
  • অতি ঘনত্ব লক্ষ করা যায় – বাংলাদেশে
  • জন্মহার বেশী ও মৃত্যুহার কম এইরকম প্রদর্শনকারী জনসংখ্যা পিরামিডটি হল- প্রথম শ্রেণীর
  • জন্মহার অনিয়ন্ত্রিত  ও মৃত্যুহার নিয়ন্ত্রিত এইরকম প্রদর্শনকারী জনসংখ্যা পিরামিডটি হল- দ্বিতীয় শ্রেণী
  • অভিবাসনের ফলে জনসংখ্যার হঠাৎ বৃদ্ধি নিদর্শনকারী  পিরামিড হল – তৃতীয় শ্রেণী
  •  ভারতের পুরুষের অপেক্ষা নারী বেশী এমন রাজ্য - কেরালা
  •  যে সব দেশে জন সংখ্যা পিরামিড ঘণ্টা  আকৃতির তা হল কানাডা ও আমেরিকা
  • অধিক সক্রিয় ও বয়স্ক জনসংখ্যা পিরামিড টি হল – পঞ্চম শ্রেণী
  • দেশের মধ্যে সর্বাধিক পরিব্রাজন ঘটে থাকে – গ্রাম থেকে শহরে
  • স্থির বা প্রায় স্থির জনসংখ্যা নির্দেশকারী জনবিবর্তন মডেলএর পর্যায়টি হল – চতুর্থ শ্রেণী
  • অত্যধিক জনবসতিযুক্ত অঞ্চলের জনঘনত্ব প্রতি বর্গ কিমিতে – ৮০০ জনের বেশী
  • অধিক জনবসতিযুক্ত অঞ্চলের জনঘনত্ব প্রতি বর্গ কিমিতে – ৪০১-৮০০
  • অতি স্বল্প  জনবসতিযুক্ত অঞ্চলের জনঘনত্ব প্রতি বর্গ কিমিতে – ১০০ জনের কম
  • ভারতের সর্বাধিক জনবহুল রাজ্য হল উত্তর প্রদেশ
  • ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী ভারতে প্রতি হাজারে পুরুষে নারীর সংখ্যা – ৯৪০
  • কোন দেশের বা অঞ্চলের মোট জনসংখ্যা ও মোট জমির পরিমাণএর অনুপাত কে জনঘনত্ব বলে।
  • কোন দেশের অর্থনৈতিক উন্নতির জন্যে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হল – কাম্য জনসংখ্যা
  • বর্তমানে পৃথিবীর জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১.৩%
  • কোন মহাদেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার সবচেয়ে বেশী – আফ্রিকা
  • গত ৫০০ বছরে পৃথিবীর জনসংখ্যা বেড়েছে – ১০ গুন
  • ১০০০০ সালে জনসংখ্যা কত ছিল ৫৩.২ লক্ষ